Skip to main content

রমজান মাসে শরীরের লোম পরিষ্কার করার নিয়ম আছে কি? না হলে আমার শরীর ৪১ দিন হওয়ার কাছাকাছি। এখন আমি কী করবো, কারণ ৪১ পরে শরীর নাপাক হয়ে যাবে তাই একটা উত্তর দিন হাদীস থেকে।

 


হ্যাঁ, রমজান মাসে শরীরের লোম পরিষ্কার করার নিয়ম আছে। আল-হাদীস বুখারী এবং মুসলিমে বর্ণিত হয়েছে যে, প্রফেত মুহাম্মদ (সা:) বলেছিলেন, "যে ব্যক্তি রমজানের প্রথম দিন পর্যন্ত নাফল সালাত না পড়ে, তার জন্য পূর্ণ রমজানের ফজিলত হারাম।" তাই রমজানের প্রথম দিন থেকে শুরু করে আপনার লোম পরিষ্কার করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।


শরীরের লোম পরিষ্কার করার জন্য নিম্নলিখিত কিছু উপায় আছে:




ঘরের পানি দিয়ে পরিষ্কার করা - দুটি কাপ পানি নিয়ে হাত ধোয়ার পর একটি কাপ পানি নিয়ে লিখে লিখে শরীরে লাগিয়ে পরিষ্কার করা যায়। এরপর একটি টিস্যু দিয়ে শরীর শুষে নেওয়া হলেও হবে।


সোদিইউম কাপড় বা মাঝারি বাস্তি ব্যবহার করা - শরীরের উপর সোদিইউম কাপড় বা মাঝারি বাস্তি দিয়ে ভিজিয়ে শরীর পরিষ্কার করা যায়


গোসুল করা - রমজান মাসে প্রতিদিন সেহরি খাবার খেয়ে শরীরের লোম সামান্য অংশে বসে থাকতে পারে। সেই লোমগুলো পরিষ্কার করতে আপনি গোসুল করতে পারেন। এছাড়াও, আপনি প্রতিদিন একটি স্নান নিতে পারেন যাতে শরীরের নাপাকতা দূর হয়ে যায়।


মস্কা ব্যবহার করা - শরীরের লোম পরিষ্কার করার জন্য মস্কা ব্যবহার করা যেতে পারে। আপনি কিছু সুগন্ধি তেল সহ মস্কা ব্যবহার করে শরীরের লোম পরিষ্কার করতে পারেন।



সর্বশেষ, আমি আপনাকে বলতে চাই যে শরীরের নাপাকতা আল্লাহ তাআলার কাছে একটি মোটো গুনাহ। তাই রমজান মাসে আপনার শরীরের পরিষ্কারতা সম্পর্কে খেয়াল রাখতে অবশ্যই স্বাস্থ্যকর উপায় অনুসরণ করা উচিত।

Comments

Popular posts from this blog

লিঙ্গে কালোজিরার তেল মালিশ করলে কি উপকার হয়?

কালোজিরা তেল হল একটি প্রাকৃতিক তেল যা কালোজিরা ফলের বীজ থেকে উৎপাদিত হয়। এটি একটি উচ্চ তাপমাত্রার তেল এবং বহুল ব্যবহার করা হয় তাপশক্তি ও আরোগ্য উন্নয়নের জন্য। কালোজিরা তেল মালিশ করলে কম স্বাস্থ্যকর লিঙ্গ দুর্বলতা ও যৌন দুর্বলতা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কালোজিরা তেল মালিশ করা যেতে পারে লিঙ্গের তন্ত্রকে শক্ত এবং সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। এটি লিঙ্গ থেকে শুষ্কতা ও ক্ষতস্থানে ত্বকের সুরক্ষা করতে সহায়তা করে এবং লিঙ্গের উদ্দীপনা বা স্তম্ভন বৃদ্ধি করতে পারে। তাই, কালোজিরা তেল মালিশ করা যেতে পারে লিঙ্গের স্বাস্থ্য ও যৌন সমস্যার সমাধানে সহায়তা করতে পারে। তবে, লিঙ্গের সমস্যা থাকলে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

প্রতিদিন কয়টি কাজুবাদাম খাওয়া উচিত? অথবা এর নিয়ম কী?

কাজুবাদাম একটি সুস্বাদু খাদ্য এবং এটি স্বাস্থ্যকর উপকার দেয়।  কাজুবাদাম খাওয়ার সুবিধার জন্য এর দৈনিক পরিমাণ সম্পর্কে কোন নির্দিষ্ট নিয়ম নেই। তবে, স্বাস্থ্যশাস্ত্রীদের পরামর্শ মোতাবেক প্রতিদিন দুটি কাজুবাদাম খাওয়া সুস্থ এবং উপকারী হতে পারে।  কিন্তু এটি পর্যাপ্ত না যদি আপনি একদিনে বেশি পরিমাণে খাওয়েন। কাজুবাদাম খাওয়ার বিভিন্ন উপায় রয়েছে, যেমন কাজুবাদাম মসলা, কাজুবাদাম দুধ, কাজুবাদাম বারফ এবং অন্যান্য খাবারে রুপান্তরিত করে খেতে পারেন। কাজুবাদাম খাওয়ার সময় আপনাকে মাত্র উপকারী পরিমাণ খেতে হবে এবং সর্বাধিক মাত্রা নির্দিষ্ট করা যেতে পারে না। সুতরাং, স্বাস্থ্যকর ও সুস্বাদু খাবার হিসাবে কাজুবাদাম খাওয়া উচিত। কোন নির্দিষ্ট সংখ্যক কাজুবাদাম খাওয়ার প্রয়োজন নেই।

নিয়মিত কলা খােলে কি কি উপকার পাওয়া যায়??

নিয়মিত কলা খাওয়া আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো। কলা একটি স্বাস্থ্যকর ফল যা বিভিন্ন উপাদান সম্পন্ন, প্রচুর ফাইবার, ভিটামিন, ও মিনারেল সরবরাহ করে। এছাড়াও কলা উচ্চ পেক্ষা ক্যালোরি এবং বেশিরভাগ পানি সম্পন্ন এবং লো ফ্যাট সম্পন্ন। কলা খেয়ে থাকা উপকারিতা হলোঃ কলা খাওয়া স্বাস্থ্যকর হৃদয়ের জন্য ভালো হয় কারণ এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। কলা ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি-৬ সম্পন্ন, যা নিয়মিত শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং মিনারেল সরবরাহ করে। কলা স্বাস্থ্যকর পেটের জন্য ভালো হয়। এটি পাচনশক্তি বাড়ানো সম্ভব এবং কলা পেটের ব্যথা কমানোর জন্য ভালো হয়। কলা উচ্চ ফাইবারের সম্পন্ন এবং সেটা পেট খারাপ হওয়ার ঝুঁকি কমানোর সাথে কাজ করে। এছাড়াও, কলা খেয়ে থাকা উপকারিতা হলোঃ কলা শরীরের ক্যালসিয়াম সংগ্রহ করতে সহায়তা করে যা স্বাস্থ্যকর হাড় এবং দাঁতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কলা প্রকৃতিক এন্টি঑ক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিইনফ্লামেটরি প্রতিষ্ঠান এবং এটি শরীরের বিভিন্ন অংশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কমানোর সাথে সাথে অবস্থান করে। কলা খেয়ে থাকা সুস্থ ও শক্তিশালী স্কিন এবং চোখের জন্য ভালো হয়। কলা ভিটামিন এ এবং...